ঢাকা , সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ , ১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বুড়িগঙ্গা যেন ঢাকার ডাস্টবিন রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ৭১৮৪ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ সৌদি আরবে নথিপত্র না থাকায় অবরুদ্ধ বাংলাদেশি কর্মীরা বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ আজ ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার এগিয়ে নেয়ার তাগিদ বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত তৈরির প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন-প্রধান বিচারপতি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাসদের আলোচনা বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করা হবে-আইন উপদেষ্টা গাজীপুরে বাটা শোরুমে লুটপাট যৌতুক বন্ধে ইমাম-খতিবরা ভূমিকা রাখুন-ধর্ম উপদেষ্টা মার্চে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২৩৩ রিমান্ড শেষে কারাগারে তুরিন আফরোজ মেঘনা আলমের মুক্তি ও বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের দাবি মারধরের ভয়ে স্ত্রীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে থানায় স্বামী চট্টগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আটক ১ মোহাম্মদপুর থেকে দুই ডাকাত গ্রেফতার : র‌্যাব চাঁদপুরের সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু হান্নান বাহিনীর হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি পুলিশ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ইয়াঙ্গুনে নৌবাহিনীর জাহাজ বোরকা না পরায় নারী ইউএনওকে কার্যালয় থেকে বের করে দেয়ার নিন্দা দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান

মেঘনা আলমের মুক্তি ও বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের দাবি

  • আপলোড সময় : ১৩-০৪-২০২৫ ০২:০৪:৩৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০৪-২০২৫ ০২:০৪:৩৮ অপরাহ্ন
মেঘনা আলমের মুক্তি ও বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের দাবি
বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার মেঘনা আলমকে অনিলম্বে মুক্তি এবং এই আইন বাতিল করার দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। গতকাল শনিবার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মোহাম্মদের সই করা এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ৯ এপ্রিল বুধবার রাতে রাষ্ট্রীয় বাহিনী মেঘনা আলমের বাসায় ঢুকে দরজা ভেঙে জোরপূর্বক তাকে আটক করে। একদিন সম্পূর্ণ নিখোঁজ রাখার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে তাকে হাজির করা হয় এবং পুলিশ তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকের অনুরোধ জানায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী আদালত বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। এই ঘটনাটি বর্তমান বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা ও বিচারবিভাগের স্বৈরাচারী আচরণের প্রকাশ বলে আমরা মনে করি। গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পরও রাষ্ট্রের এরূপ ‘আইনী’ স্বৈরাচারী তৎপরতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা দেখেছি, মেঘনা আলমকে যখন পুলিশ পরিচয়ে কতিপয় সশস্ত্র ব্যক্তি দরজা ভেঙে আটক করতে অভিযান চালাচ্ছিল, তখন তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ ভিডিও করেন। ভিডিওতে তিনি ভাটারা থানা ও ৯৯৯ হটলাইনে সহায়তা চেয়ে পাননি। তিনি নিজে থানায় যাওয়ার কথা বলেছেন, তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা এবং আটকের কারণ জানতে কাগজ চেয়েছেন। কিছুই মানা হয়নি। তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার পর একদিন তাকে গুম করে রাখা হয়। এসময়ে ফেসবুকে তার লাইভ ভিডিও ডিলিট করা হয় এবং পুলিশ ও ডিবি তাকে আটকের কথা অস্বীকার করে। ফেসবুকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জোরদার হলে ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে আটক বিষয়টি স্বীকার করা হয়। এরপর অস্বচ্ছ বার্তা দিয়ে জনগণকে জানানো হয়, ‘জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার হুমকিস্বরূপ ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টার কারণে’ বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কমিটির পক্ষে বলা হয়, আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, বিশেষ ক্ষমতা আইন (১৯৭৪) একটি ফ্যাসিবাদী আইনের ধারা, যার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা আগে বিভিন্নসময় প্রতিবাদ করেছেন। অথচ এই আইন ব্যবহার করেই সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের অন্যায় আচরণ ও প্রতারণা চাপা দিতে একজন নারীর বাড়িতে হামলা করে তুলে নিয়ে তাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে অনেক গুম ও স্বেচ্ছাচারী আটকের ভিত্তি তৈরি করে নাগরিকের মানবাধিকারকে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল। জুলাইয়ে শিক্ষার্থী শ্রমিক জনতার বিপুল রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যখন জনগণের আকাঙ্ক্ষা হয়ে উঠেছে, তখন এরকম আইনের ব্যবহার পুনরায় ফ্যাসিবাদী তৎপরতার প্রকাশ ঘটিয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কূটনীতিক সম্পর্ক নষ্ট করার’ যে অভিযোগ দিয়েছে তা বিভ্রান্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে এই কমিটি। বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্র যদি একজন কূটনীতিকের ব্যক্তিগত বিদ্বেষের জের ধরে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে নাগরিকের অধিকার হরণ করে, তাহলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং কূটনৈতিক প্রশ্নে দ্ব্যর্থহীন নতজানুতা প্রকাশ পায়। গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি অবিলম্বে মেঘনা আলমের মুক্তি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন (১৯৭৪) বিলোপের দাবি জানায়। পাশাপাশি যে রাষ্ট্রীয় বাহিনী বিদেশি রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত বাহিনী হিসেবে একজন নাগরিকের অধিকারকে হরণ করলো, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের ভূমিকাও তদন্ত করতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে যথাযথ কূটনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স